দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ডুমুরিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। ডুমুরিয়া সদরের উপজেলা ক্যাম্পাসে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ মঙ্গলবার স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধের শুভ উদ্ধোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নারায়ন চন্দ্র চন্দ, এম.পি।
ডুমুরিয়া মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উপজেলা সদরে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছেন। এ লক্ষে ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিককে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি দীর্ঘদিন স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই এক পর্যায়ে গত বছর (২০১৪) ডুমুরিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনা উৎসবে আবারও নুরুল ইসলাম মানিক তার দাবি পূর্ণব্যক্ত করলে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দাবি আগামী (২০১৫) স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে উপজেলা সদরে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মানেরও প্রতিশ্রুতি দেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভের নকশা অনুযায়ী জানা যায়, ৫০ ফুট প্রস্থ এবং ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট লাল রঙের বেদীর উপর ২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি সাদা স্তম্ভ স্থাপন করা হবে। যার মাঝখানে থাকবে লাল সবুজের অর্ধবৃত্তাকার দুটি অংশ। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য ও সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণীয় করে রাখতে এবং তাদের আত্মার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উপজেলা সদরে একটি স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স তৈরীর পরিকল্পনা করেছিলেন। সে অনুযায়ী স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ নিমাণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস